স্বদেশ ডেস্ক:
সম্প্রতি ভারতের ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর অ্যাডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেইনিং (এনসিইআরটি) প্রকাশিত সংশোধিত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে।
পূর্বে একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বইয়ে ‘ভারতীয় সংবিধান কেন ও কিভাবে’ শিরোনামে প্রথম অধ্যায়ে লেখা ছিল, ‘গণপরিষদের বিভিন্ন বিষয়ে আটটি প্রধান কমিটি ছিল। সাধারণত জওহরলাল নেহেরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্দার প্যাটেল, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও আম্বেদকর এসব কমিটির সভাপতিত্ব করতেন। তারা সবাই সব বিষয়েই যে একে অন্যের সাথে একমত ছিলেন, তা নয়। তাদের মাঝেও বিভিন্ন বিষয়ে মতভেদ ছিল। আম্বেদকর তো কংগ্রেস ও গান্ধির কঠোর সমালোচক ছিলেন। প্যাটেল ও নেহেরুর মাঝেও অনেক বিষয়ে মতভেদ ছিল। তবে তারা সবাই একসাথেই কাজ করতেন।’
সংশোধিত বইয়ে এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘গণপরিষদের বিভিন্ন বিষয়ে আটটি প্রধান কমিটি ছিল। সাধারণত জওহরলাল নেহেরু, রাজেন্দ্র প্রসাদ, সর্দার প্যাটেল ও আম্বেদকর এসব কমিটির সভাপতিত্ব করতেন।’
এ সংশোধনীর মাধ্যমে মূলত ভারতের সংবিধানের খসড়া প্রক্রিয়ায় মাওলানা আবুল কালাম আজাদের অবদানকে অস্বীকার করা হয়েছে। অথচ ভারতীয় সংবিধানের খসড়া প্রস্তুতকরণে আজাদের ভূমিকা ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি তখন কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেন এবং বিধানসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। এছাড়া ব্রিটিশ ক্যাবিনেট মিশনের সাথে আলোচনার জন্য যাওয়া প্রতিনিধি দলের তিনি নেতৃত্ব দেন। জিন্নাহের ক্রমবর্ধমান শত্রুতা স্বত্ত্বেও তিনি হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলেন।
এছাড়া একই অধ্যায় থেকে ভারতের সাথে শর্তসাপেক্ষে জম্মু ও কাশ্মীরের যোগদানের প্রসঙ্গটিও বাদ দেয়া হয়েছে।
সূত্র : সিয়াসত ডেইলি